Mimi- Nusrat in Eid: দু’জন দু’জনকে ‘বোনুয়া’ বলে সম্বোধন করতেন, একথা এখন আর কারও অজানা নয়।যে কোনও সম্পর্কের গভীরতা অভিনেত্রীদের মধ্যে বোঝা খুবই কঠিন। কখন প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে সাপ নেউলের সম্পর্ক হয়ে যাবে তা ধরতে পারবেন না। কিন্তু মিমি আর নুসরাতের সম্পর্ক অনেক আলাদা। সেই সম্পর্কে অনেকটাই দুরত্ব রয়েছে কিন্তু ধারণাটা একটু বদলেছে যখন মিমি এমন পোস্ট করলো সোস্যাল মিডিয়াতে।
সোস্যাল মিডিয়া থেকে ব্যক্তিগত জীবনে সবসময় সাথেই দেখা যেতো দুজন কে। নিজেদের কে বোন বলে দাবি করতেন তারা। এদিকে তাদের সম্পর্কে যে ফাটল ধরেছে তা এখন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অলিতে গলিতে। তবে 11 এপ্রিল, ঈদ – উল – ফিতার এ মিমি, নুশরাত এর কাছে হাতে রান্না বিরিয়ানি খেতে চাইলেন। আশাকরা যেতে পারে সম্পর্কের দুরত্ব একটু কাটতে পারে এরপর।নুসরত এবারের ইদ উদযাপন করেছেন নিজের পরিবার ও একেবারে কাছের বন্ধু- বান্ধবের সঙ্গে। অন্যদিকে মিমি নিজের ইনস্টা স্টোরিতে বিরিয়ানির কথা লিখেছেন। তবে দূরত্বের দিক থেকে বিচার করলে অনেক কিছুই উঠে আসতে পারে। যেমনকি গুরুত্বপূর্ণ সময় এও মিমিকে নুসরাতের পাশে দেখা যায়নি। বিয়েতে যশ এবং নুসরাত এর পাশে মিমিকে দেখা যায়নি।
২০১৯ থেকে ২০২৪ পাঁচ বছর আগে একি ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সময় কাটছিল তাঁদের দুজনের। ঘুরে ঘুরে ভোট প্রচার। দুজনই এভাবেই ব্যস্ততায় ছিলেন বছরে পাঁচেক আগে। তবে ৪ বছর পরে একেবারেই বদলে গেছে সবটা, না আছে আগের মতো কর্ম ব্যস্ত জীবন না আছে বন্ধুত্ব।একসময় তাঁরা সংসদে যেতেন একসঙ্গে, সেলফি তুলতেন এবং পোস্ট করতেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে এখন আর একসঙ্গে প্রায় দেখা যায়না নুসরত ও মিমিকে। তবে দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে দুজনেরই। নুসরাত আগেই বিয়ের পর পর রাজনৈতিক দল ত্যাগ করেন এবং স্বামী যশ এর সাথে সংসারে মন দিতে চান এম এমনটাই উঠে আসে।২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণার পরে দলকে ইস্তফা পত্র দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। দুজনে নিবার্চনে প্রার্থীর টিকিট পাননি।
নুসরাত আর মিমির মধ্যে সত্যি দূরত্ব বেড়েছে কিনা তা অস্পস্ট। সংবাদ মাধ্যমে যতবার বলেছেন Mimi ” আমাদের দুজনের মাঝে সম্পর্কটা কি তা আমি প্রকাশ্যে আনতে চাইনা বা বলতে চাইনা”। এখন কতোটা ভালো বা তিক্ত সম্পর্ক সেটা সময়ের অপেক্ষায়।