Money Making Tips: বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে ছোটো চাকরি বা অল্প আয়ে সংসার চালানো বা জীবন যাপন করা মোটেও সহজ নয়। চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করা মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ বেকারত্ব, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে। এই কারণে মানুষ ব্যবসার পথ অবলম্বন করছে।এই ব্যবসার মাধ্যমে বাড়িতে বসেই মোটা টাকা উপার্জন করা সম্ভব।
ব্যবসা শুরু করাটা কঠিন নয় কিন্তু ইনভেস্টমেন্ট যাতে সঠিক হয় সেই দিক থেকে ভেবে বর্তমান আটা মিল ব্যবসার কথা তুলে ধরছি।যার চাহিদা আজ অনেক বেশি। মানুষ এখন তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। যার কারণে তারা খাঁটি জিনিস খেতে পছন্দ করে। তাই আটা কল থেকে উৎপাদিত খাঁটি আটার চাহিদা অনেক বেশি। যার কারণে এই ব্যবসার জনপ্রিয়তাও অনেক বেশি। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা, যা বছরে ১২ মাসই চলে।এই ব্যবসা শুরু করার জন্য, একটি আটা গ্রাইন্ডিং মেশিনের প্রয়োজন হবে। যা অফলাইন স্টোর বা ইন্ডিয়ামার্টের মতো অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে খুব সহজেই ক্রয় করা যেতে পারে। এছাড়াও, এই ব্যবসাটি এমন জায়গায় শুরু করা আরও সুবিধাজনক হবে, যেখানে বেশি লোক বাস করে, অর্থাৎ যেখানে মানুষের চলাচল বেশি। কেউ যদি চায়, নিজেদের বাড়িতেই এই মেশিন ইনস্টল করতে পারেন।
কম খরচে এই লাভজনক ছোট ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। যদি আমরা এই ব্যবসার খরচ সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকার মধ্যে একটি আটা গ্রাইন্ডিং মেশিন পাওয়া যেতে পারে। শুরুতে, যে কেউ কোনও লাইসেন্স ছাড়াই ছোট পরিসরে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যত তাড়াতাড়ি ব্যবসা বাড়বে, লাইসেন্সের জন্যও আবেদন করা যেতে পারে।
এই ব্যবসার মাধ্যমে দুটি উপায়ে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। প্রথম উপায় হল গ্রাহকের আনা শস্য পিষে অর্থ উপার্জন করা। অন্য দিকে, দ্বিতীয় উপায় হল আটা মানুষের কাছে বিক্রি করা। যা বাজারে বিক্রি করা যেতে পারে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। সুতরাং, এইভাবে যে কেউ প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারেন।
পরিশ্রম এবং ধর্য দুটো একত্রিত হলে ব্যবসায় উন্নতি হবেই। শুধু বিনিয়োগ এর ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন। বাকিটা সময় দেওয়ার ও পাওয়ার চাহিদার ওপর নির্ভর করে।