West Bengal Student Credit Card:পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পিছিয়েপরা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এক বিশেষ প্রকল্প ২০২১ সালের শুরু করা হয়। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য এটাই ছিল যাতে কোন ছাত্র-ছাত্রী টাকা পয়সার অভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়। এই পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার জন্যেই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একটি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড (Student Credit Card) লোনের প্রকল্পের ব্যবস্থা করেন।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কি?(Student credit card loan)
রাজ্য সরকারের এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড লোনে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নেয়া যাবে। ছাত্রছাত্রীরা এই টাকা ৪% সুদে পেয়ে থাকেন। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা চলাকালীন সুদের টাকা পরিশোধ করে তাহলে আরো ১% ছাড় পাবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্টুডেন্টদের কথা ভেবে লোন পরিষদের সময়সীমা ও বাড়িয়ে দিয়েছেন ১৫ বছর। অর্থাৎ লোন নেয়ার ১৫ বছরের মধ্যে শোধ করতে হবে।
যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা এলিজিবল(Eligible) হবে এই লোনটি নেয়ার জন্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার কিছু শর্ত রেখেছে। সেই শর্তগুলি হল:
১) প্রথমত ভারতবর্ষের নাগরিক হতে হবে।
২) পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করতেই হবে। অন্যান্য রাজ্য থেকে হলে হবে না।
৩) কমপক্ষে পশ্চিমবঙ্গের ১০ বছর বসবাস করা নাগরিক হতে হবে।
৪) ছাত্র-ছাত্রীকে পশ্চিমবঙ্গের কোন সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কোন কোর্সে ভর্তি থাকতে হবে।
৫) পশ্চিমবঙ্গের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড লোন এর জন্য আবেদন করতে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪০ বছর হতে হবে।
৬) এর জন্য আবেদন করতে পরিবারের সর্বোচ্চ আয়ের কোন সর্বোচ্চ সীমা উল্লেখ নেই।
কোন সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য যোগ্য বা অযোগ্য?
সরকার এখানেই কোন জাতিগত বৈষম্য রাখেনি। সকলের জন্যই সমান অধিকার। শুধুমাত্র স্কুল-কলেজে বা মাদ্রাজায় পাঠরত স্টুডেন্টরা নয় বাকি কম্পিটিটিভ রয়েছে এমন স্টুডেন্টরাও এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। যে সমস্ত স্টুডেন্টরা মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক দিচ্ছে কোন স্কুল বা মাদ্রাসা থেকে, এছাড়া কোন কলেজ থেকে ডিপ্লোমা বা গ্রেজুয়েশন করছে তারাও এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারে।
এছাড়াও কম্পিটিটিভ এক্সাম এর যেমন ইউ পিএসসি ডব্লিউবিসিএস যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ছে, সে ক্ষেত্রেও তারা লোন নিতে পারে। এই লোন তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি হোস্টেল ফ্রি, শিক্ষাগত খরচা কভার করতে পারবে।
পশ্চিমবঙ্গের কোন স্টুডেন্ট যদি বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করে তাহলে কি সে লোন পেতে পারে?
শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত বিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউশন নয়, রাজ্যের বাইরেও যেকোনো কোর্স এ পড়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট করে আবেদন করতে যেসব বৈধ নথিপত্র দরকার:
১) আবেদনকারী স্টুডেন্টদের মা/ বাবা / অভিভাবকের
কালার পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
২) অভিভাবকের স্বাক্ষর।
৩) মোবাইল নাম্বার অথবা ইমেল আইডি।
৪) আবেদনকারী শিক্ষার্থীর আধার কার্ডের জেরক্স ও মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন কার্ডের জেরক্স।
৫) অভিভাবকের ঠিকানার প্রমাণপত্রের জেরক্স এবং তার সচলিত মোবাইল নাম্বার।
৬) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নথিভুক্ত প্রমাণ।
৭) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি সংক্রান্ত ফিসের জেরক্স।
৮) অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীর প্যান কার্ডের জেরক্স।
৯) আবেদনকারীর ব্যাংকের জেরক্স, ব্যাংকের শাখার নাম, আইএফসি কোড এবং পাসবুকের প্রথম পাতার জেরক্স।
১০) স্টুডেন্টদের ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট।
লোন এপ্রুভ হয়েছে কিনা সেটা কি করে জানবেন?
লোন অ্যাপ্রুভ হওয়ার পর সেটা কনফার্মেশন জানাবে মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল এর মাধ্যমে। এ ছাড়া যে ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি ক্রেডিট কার্ডটি নিতে চান সেই ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ডটিও প্রোভাইড করা হবে।