Gold Price Today: All India Sarafa Association থেকে জানানো হয়েছে যে বিশ্ববাজারে মূল্যবান ধাতুর দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে, স্থানীয় বাজারে অন্যান্য জিনিসের দামও সোনার দামেও প্রভাব ফেলেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে শুল্কনীতিতেও সোনার দাম রেকর্ডা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল ট্রাম্প হওয়ার পর থেকে।
বিশ্ববাজারেও সোনার দামের হেরফের হয়ে চলেছে:
ট্রাম্প শাসনকালে অর্থনৈতিক কিছু দাম ঘোষণা করেছে, যে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে Comex গোল্ড ফিউচার প্রতি আউন্স ২,৯৩২.৬৯ মার্কিন ডলার অবধি পৌঁছেছে। অর্থাৎ ৪৫.০৯ ডলার বা ১.৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও সোনার দাম স্পট মার্কেটে ২,৯০০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
ভারতের বাজারেও সেই একই হাল। আসুন জেনে নেওয়া যাক:

এই মাসের গত সোমবার দিন কলকাতায় ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল প্রায় ৮৮,২৪৫ টাকা। ৯৯.৯ শতাংশ বিশুদ্ধতার সোনা: প্রতি ১০ গ্রামে ২,৪৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৮,৫০০ টাকায় পৌঁছেছে। ৯৯.৫ শতাংশ বিশুদ্ধতার সোনা: প্রতি ১০ গ্রামে ২,৪৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৮,১০০ টাকায় পৌঁছেছে। এছাড়াও রুপোর দাম প্রতি কেজিতে ১,০০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭,৫০০ টাকায় পৌঁছেছে। বিনিয়োগকারীরা তার জন্য অন্যান্য ব্যবসা থেকে সরে এসে সোনাই বিনিয়োগ করছেন। এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবিদরা মনে করছেন সোনার দাম আরো বাড়বে।ডাচ মাল্টিন্যাশনাল ING ব্যাংকের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সোনার দাম এই বছর আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩,০০০ মার্কিন ডলার অবধি পৌঁছাতে পারে।
MCX অনুযায়ী নতুন রিপোর্ট:
মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্ (MCX)-এ এপ্রিল মাসের ডেলিভারির জন্য প্রতি ১০ গ্রাম সোনার ফিউচার ৯৪০ টাকা বেড়ে ৮৫,৮২৮ টাকা হয়েছে। জুন মাসের ডেলিভারির জন্য প্রতি ১০ গ্রাম সোনার ফিউচার ১,০১৫ টাকা বা ১.১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৬,৬৩৬ টাকা হয়েছে।এছাড়াও মার্চ মাসের ডেলিভারির জন্য প্রতি কেজি রুপোর ফিউচার ৬৩২ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৯৫,৯৬৫ টাকায় পৌঁছেছে। এশিয়ান বাজারেও Comex রুপোর ফিউচার ৩২.৭৬ ডলারে প্রায় ১ শতাংশ বেড়েছে।
সোনার এই দর ওঠা নামার কারণে বিশেষজ্ঞরা যে যে মতামত জানিয়েছেন:

“ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির কারণে বিনিয়োগকারীরা সোনার দিকে বেশি পরিমাণে আকৃষ্ট হচ্ছেন। এর ফলে সোনার চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।” জানিয়েছেন এটা এইচডিএফসি সিকিউরিটিজের সিনিয়র বিশ্লেষক শৌমিল গান্ধী। “বাণিজ্য শুল্ক নীতিতে অস্থিরতার জন্য বুলিয়ন ক্রয়ে বিনিয়োগকারীরা বেশি উৎসাহিত হচ্ছেন” এলকেপি সিকিউরিটিজের গবেষক যতীন ত্রিবেদীর মতে।
এভাবে চলতে থাকলে দিনের পর দিন আমাদের ভারতীয় অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগবে।