Kajol-Riddhi: ২০১৮ সালে, বলিউডের ছবি ‘হেলিকপ্টার এলা’ তে প্রথম অভিনয় যাত্রা একসাথে। আর তারপরে, এখন, ২০২৪। অনেকে এই ছবির সঙ্গে হিন্দি নাটক, অন্য এক বাংলা ছবির তুলনা করছেন।এক দুরন্ত ঘূর্ণির নাম ইলা। গান তার হাতিয়ার। আর সন্তান তার জীবন।এলা, অর্থাৎ এই ‘হেলিকপ্টার এলা’ ছবিতে কাজল আসলে দু’ধারার। ছবির প্রথম অধ্যায়ের কিছু অংশে তিনি মডেল, গায়িকা। আবার পরবর্তী অধ্যায় থেকে ছেলে পাগল মা! সিঙ্গল মাদারের ছেলে মানুষ করার সাঙ্ঘাতিক লড়াই, পুরুষতন্ত্রের যন্ত্রণা ও একা মায়ের সংগ্রাম!
ট্রেলারে তুলে ধরা হয়েছে মা ও ছেলের এক অনন্য সম্পর্কের কথা। সিঙ্গল মাদার ইলা তাঁর ছেলে ভিভান (ঋদ্ধি সেন)-এর কথা বুঝতে না-পেরে, তাঁর সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর জন্য ছেলেরই কলেজে গিয়ে ভর্তি হন। অন্য ছাত্রছাত্রীরা কাজলকে দেখে শিক্ষিকা বলে মনে করলেও, তিনি নিজেই জানান যে তিনিও একজন ছাত্র। ছেলের পার্সোনাল স্পেসে মায়ের অন্তর্ভুক্তিতে মা ও ছেলের সম্পর্কের মধ্যে ।
কলকাতাতে শ্যুটিং করতে হাজির কাজল , সেখানে ঋদ্ধি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হাজির। পার্ক স্ট্রিটে শ্যুটিং করছিলেন কাজল আর সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলেন ঋদ্ধি সেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিলেন এই ছবি।
View this post on Instagram
রবিবার, পার্কস্ট্রিটে নতুন ছবির শ্যুটিং করছিলেন কাজল। আর সেই ফাঁকেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ঋদ্ধি। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজলের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘একজন মানুষ যে প্রত্যেক মুহূর্তে আমাদের অবাক করে। রিল আর রিয়েল লাইফের ব্যালেন্স কি সুন্দর ভাবে কাজল রেখে চলেছেন। একজন মানুষ কী অতুলনীয় ব্যবহার। আর একেবারে উদার হৃদয়। খুব সুন্দর, স্নিগ্ধ কথা বার্তা হয় দুজনের ।
পার্কস্ট্রিটে শ্যুটিং করেছেন কাজল, সঙ্গে ছিলেন বাঙালি অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত । মুম্বইতে একাধিক কাজ করেছেন ইন্দ্রনীল। এছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন রণিত রায়। সদ্য এই ছবির শ্যুটিং করতে শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন কাজল।একটি টকটকে লাল ফুল হাতা সালোয়ার কামিজ পরিহিতো কাজল। সাথে ছেলে যুগ এবং মা তনুজা। ছেলে যুগ মুখে হাসি মাখিয়ে তিনি পোজ় দেন মা ও দিদার সঙ্গে। স্বামীর জন্মদিনেও থাকতে পারেননি তিনি। কলকাতা থেকেই শুভেচ্ছা স্বামীকে।কাজল ১৯৭৪ সালের ৫ আগস্ট ভারতের বম্বের (বর্তমানে মুম্বই) বাঙালি-মারাঠি মুখার্জী-সমর্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা তনুজা সমর্থ অভিনেত্রী এবং বাবা শমু মুখার্জী ছিলেন পরিচালক ও প্রযোজক। তার বাবা শমু ২০০৮ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।